মেঘটা জমতে জমতে, আসছে। পাহাড়ের দিক থেকে।
এখন নদীর জল কিছু অন্যরকম চঞ্চল! ঠান্ডা হাওয়াটা আগে আগে ছুটে আসছে, জল ছুঁয়ে ছুঁয়ে, খবর দিতে দিতে...বৃষ্টি আসছে...।
লোকটা কিছুক্ষণ আগেই এসেছে। আকাশের দিকে তাকিয়ে, মেঘ মেপেছে। লুঙ্গিটা কষি দিয়ে বেঁধেছে হাঁটুর ওপরে। হাঁটুজলে নেমেছে। হাত ঘুরিয়ে জাল পেতেছে জলের গায়ে।
লোকটা শিকারী।
ও জানে,
হাওয়ায় হাওয়ায় খবর গেছে জলের তলায়, খলবলে বৃষ্টি উৎসব হবে। জল নামবে পাহাড় থেকে।
নদীর ওপারে চাপড়ামারির জঙ্গল, সেখানের গাছগুলোর সে কী আনন্দ, কী হইহই!
যেন গ্যালারিতে জিততে থাকা দলের দর্শক
একটা শুকনো গোলাটে পাথরের ওপর বসে মাছ ধরা দেখছিলাম।
জালে টান পড়ল। জল থেকে উঠে আসছে। লোকটা ঘাড় ঘুরিয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে, দাঁত বের করে হাসল। রূপোলী চকচকে হাসিটা, ওর হাতের জাল'টার গা থেকে, এখন লোকটার চোখে মুখে!
বিদ্যুৎ চমকাল। ডুয়ার্সে বৃষ্টি আসছে। এ বৃষ্টি, চরিত্রে কিছু বুনো। আনন্দের প্রকাশ'ও ঠিক সমতলের মত ভব্যসব্য, জল জমানো নয়। হুট করে এসে পড়ে। আলাপ থেকে সটান ঝালা!
ট্যুরিস্ট লজে ফেরাই ভালো...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন