২৯ জুন ২০২২

কলকাতা

 #কলকাতা_২০০০

এখানে শুধু কেজো লোকেরাই আসেন। কেবলমাত্র কাজের জন্যে, প্রয়োজনের জন্যে, এখান দিয়ে যাতায়াত করেন। এখানে এক এক রকম জিনিসের জন্য এক একটা পাড়া। একই ধরনের জিনিসের দোকান সারি সারি। হোলসেল আর রিটেল মার্কেট। ধরুণ ইলেকট্রিকের সরঞ্জাম যদি খোঁজেন তবে আপনি যাবেন এজরা স্ট্রিটে। ইলেকট্রনিক্সের জিনিস চাইলে চাঁদনি। অটোমোবাইল সংক্রান্ত কাজে যাবেন মল্লিকবাজার বা ওয়েলিংটনে। আবার ধরুন, জন্মনিয়ন্ত্রণ -সংক্রান্ত জিনিসপত্রের প্রয়োজনে আপনি যাবেন মতি শীল স্ট্রিট নামের রাস্তাটায়। সেটার আরেকটা নাম ছিল 'ফ্যামিলি প্ল্যানিং স্ট্রিট। চশমা-সংক্রান্ত প্রয়োজনে আপনার গন্তব্য হবে বৌবাজার স্ট্রিট বরাবর চশমার দোকানগুলো। আর ঘড়ির ব্যাপারে আপনি যাবেন রাধাবাজারে। লোহার কাজের জন্য আপনি খোঁজ করবেন নির্মলচন্দ্র স্ট্রীটের দোকানগুলোতে বা চালতাবাগান লোহাপট্টিতে। এবং অদ্বিতীয় কলেজ স্ট্রীট। এর পশরা বিচিত্র। প্রথমে বৌবাজার শিবমন্দিরের গলি। সেখানে সাকী ও সুরা ও আনুষঙ্গিক নেশার আয়োজনের খবর রসিকজনে রাখেন। সে তল্লাট পার হলে, আপনি পাবেন বাথরুম-টয়লেট সংক্রান্ত দোকানের সারি। তারপর ডাক্তারি অস্ত্রশস্ত্র - সার্জিকাল ইন্সট্রুমেন্টস-বায়োলজি বক্স ইত্যাদির মহল্লা। তারপর বইপাড়া। আর বৌবাজার থেকে শিয়ালদার দিকে যেতে রাস্তার দুদিকে ঝলমলে আলোজ্বলা সাইনবোর্ড - গয়নার দোকান সারবাঁধা। শিয়ালদা বৈঠকখানা বাজারের মধ্যে দিয়ে সরু রাস্তাটার দু'পাশে সারি সারি মশলার দোকান। সূর্য সেন স্ট্রিটের পাড়াটা কাগজের- নানারকম কাগজ-বিয়েরকার্ড -ইত্যাদির দোকান। 

 আমাদের শহরে এমনই,  যাকে বলে একই জাতের এলাকা আছে, আরও যা মনে পড়ছে তা হল - গঙ্গার ধারে মল্লিক ঘাটে ফুলের বাজার। গ্যালিফ স্ট্রীটের পশুপাখির বাজার। মৃৎশিল্পীদের স্টুডিওপাড়া -  কুমারটুলি ইত্যাদি। আমার না-জানার দরুণ আরও কিছু নাম ছেড়ে গেলে আপনারা অ্যাড করে দেবেন 🙏

জায়গাগুলোর হদিশ না জানলে, গুগল ম্যাপেই দিব্যি পেয়ে যাবেন,

তবে এদের মধ্যে সেরা সিরিজটি আছে এলগিন রোডের ধারেকাছেটায়।  'লক্ষ্মীবাবুকা সোনা-চাঁদি কি দুকান'..। 'আসলি' শব্দটি সাইনবোর্ডগুলিতে আলাদা জায়গা ভাগাভাগি করে নিয়েছে। এদের মধ্যে কোনটা যে আসলে 'আসলি তা আমি এ শহরে এতদিন থেকেও জানতে পারি নি। 

সঙ্গের ছবিটা মেট্রোগলির। এ রাস্তার বিশেষত্ব হল বেশিরভাগ দোকান, ক্যামেরা-সংক্রান্ত জিনিসের




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন