আনন্দবাজারে বেরনো লেখাটা কদিন ধরে আমাকে ভাবাল। বাংলায় লেখা বা না লেখা নিয়ে। প্রায় বছর দুয়েক পরে আমার পরবর্তী পোস্ট।
আমি বরাবর বিশ্বাস করে এসেছি নিজের মত করে কিছু লিখতে গেলে সেটা আমি বাংলাতেই লিখতে পারব। তার জন্যে বাংলা লিপি আর সেটা কম্পিউটারে টাইপ করার জন্যে একটা সহজ সরল সফট ওয়্যার চাই। আমি এর পেছনে কিছুটা পরিশ্রম করে ব্যাপারটা কিছুটা আয়ত্তে আনতে পেরেছি। কিন্তু বাংলা লিপিতে লেখা বক্তব্য আমার অবাঙালী আর বিদেশী বন্ধুদের কাছে পৌঁছবে না। তারা অনেকেই স্বচ্ছন্দে বাংলা বলতে পারে কিন্ত পড়তে বা লিখতে পারে না।
তাই বাংলা লিপির বদলে বাংলা লেখা উচিত রোমান হরফে ।
রোমান হরফে বাংলা লেখার কোনও স্ট্যান্ডার্ড নিয়মকানুন নেই। আগেকার দিনে ভুল বানানে লেখা চিঠি পাওয়া যেত। বানান যেমনই হোক না কেন পেনের কালি আর হাতের লেখায় চিঠি লেখা মানুষটার একটা উত্তাপ পাওয়া যেত। সেটা স্পেশাল ছিল। এখন এস এম এস যুগ পার হয়ে হোয়াটস অ্যাপের যুগ চলছে।
এখন টাইপ করার সময় কম্পিউটার নিজেই আন্দাজ করে নেওয়ার চেষ্টা করে তুমি কোন শব্দটা লিখতে চাইছ। কাছাকাছি কয়েকটা শব্দ দেখিয়ে দেয়। তুমি ঠিক বানানের শব্দটা বেছে নিয়ে বসিয়ে দাও। বানান ভুলের সম্ভাবনা কমেছে। ঘরে ঘরে স্মার্ট বাচ্চাদের মত আজকাল হাতে হাতে স্মার্টফোন। লেখার মুডের ভেতর ফোনের এই নাক গলানো আমার পছন্দ নয়।
লেখার পর ভাষা শুধু লিপিতেই থাকে না। সেটা বদলে যায় ধ্বনিতে। আমরা জোরে জোরে অথবা মনে মনে পড়ি। পড়তে গেলে ধ্বনি আসে। ধ্বনির সঙ্গে আসে উচ্চারণ। ইংরেজি ভাষায় লিপির সঙ্গে উচ্চারণের বন্ধুত্ব বেশী । সেখানে bi মানে বি bo মানে বো কিন্তু বাংলা হল ধ্বনি নির্ভর ভাষা। আমার একজন অবাঙালী বন্ধু বলেছিল 'বাঙ্গালী লোগ সব কুছ ও ও করকে বোলতা হ্যায়'। খাবো, যাবো, কোরবো, লোড়বো, জিতবো। কিন্ত রোমান হরফে শব্দের পেছনে o বসানো সম্ভব নয়। তাই রোমান হরফে লিখতে গেলে এক একটা বাংলা শব্দের করূণ দশা হয় । ki hoyacha . পড়ে বুঝে নিতে হবে বলা হচ্ছে 'কি হয়েছে'।
আর আছে ইমোজি। ইমোশন বুঝিয়ে দেওয়ার জন্যে এগুলো ব্যবহার হয়। অনেকখানি টাইপিং তাতে বেঁচে যায়। লিখে লিখে কথোপকথনের সময় এটা একটা জরুরী ব্যপার। বাংলা সাহিত্য এখনো লিপি নির্ভর। সাহিত্যে ইমোজি ব্যবহার করা যায় না। সাহিত্যের বাংলা লিপিকে জড়িয়ে ধরে আছে । ক্লাসিকাল গানের মত। ব্যবহারিক বাংলাটা আবার রোমান হরফের সঙ্গে বেশী স্বচ্ছন্দ বোধ করে।তাই তুমি কি লিখবে আর কারা সেই লেখা পড়বে সে ব্যপারে স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার। মানে টার্গেট অডিয়েন্স ঠিক করে নেওয়া প্রয়োজনীয়।
আলঙ্কারিক বা অপ্রচলিত বাংলা শব্দ ব্যাবহার করলে মাঝে মাঝে ব্যাপারটা কিংকর্তব্যবিমূঢ হয়ে দাঁড়ায়। যেমন sharadiya priti shubheccha o abhinandan। তাছাড়া আমরা দৈনন্দিন জীবনে বেশ কিছু ইংরেজী শব্দ ব্যবহার করি যার কোনো লাগসই বাংলা হয় না। tensn nio na, ..love u ..late hobe ..
আমি নিজেই এই লেখাটায় বেশ কিছু ইংরেজী শব্দ বাংলা লিপিতে ব্যবহার করলাম। সেটা রোমান হরফে লিখলে অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। এসব নিয়ে আমি এখনও ভেবে যাচ্ছি।
আমি বরাবর বিশ্বাস করে এসেছি নিজের মত করে কিছু লিখতে গেলে সেটা আমি বাংলাতেই লিখতে পারব। তার জন্যে বাংলা লিপি আর সেটা কম্পিউটারে টাইপ করার জন্যে একটা সহজ সরল সফট ওয়্যার চাই। আমি এর পেছনে কিছুটা পরিশ্রম করে ব্যাপারটা কিছুটা আয়ত্তে আনতে পেরেছি। কিন্তু বাংলা লিপিতে লেখা বক্তব্য আমার অবাঙালী আর বিদেশী বন্ধুদের কাছে পৌঁছবে না। তারা অনেকেই স্বচ্ছন্দে বাংলা বলতে পারে কিন্ত পড়তে বা লিখতে পারে না।
তাই বাংলা লিপির বদলে বাংলা লেখা উচিত রোমান হরফে ।
রোমান হরফে বাংলা লেখার কোনও স্ট্যান্ডার্ড নিয়মকানুন নেই। আগেকার দিনে ভুল বানানে লেখা চিঠি পাওয়া যেত। বানান যেমনই হোক না কেন পেনের কালি আর হাতের লেখায় চিঠি লেখা মানুষটার একটা উত্তাপ পাওয়া যেত। সেটা স্পেশাল ছিল। এখন এস এম এস যুগ পার হয়ে হোয়াটস অ্যাপের যুগ চলছে।
এখন টাইপ করার সময় কম্পিউটার নিজেই আন্দাজ করে নেওয়ার চেষ্টা করে তুমি কোন শব্দটা লিখতে চাইছ। কাছাকাছি কয়েকটা শব্দ দেখিয়ে দেয়। তুমি ঠিক বানানের শব্দটা বেছে নিয়ে বসিয়ে দাও। বানান ভুলের সম্ভাবনা কমেছে। ঘরে ঘরে স্মার্ট বাচ্চাদের মত আজকাল হাতে হাতে স্মার্টফোন। লেখার মুডের ভেতর ফোনের এই নাক গলানো আমার পছন্দ নয়।
লেখার পর ভাষা শুধু লিপিতেই থাকে না। সেটা বদলে যায় ধ্বনিতে। আমরা জোরে জোরে অথবা মনে মনে পড়ি। পড়তে গেলে ধ্বনি আসে। ধ্বনির সঙ্গে আসে উচ্চারণ। ইংরেজি ভাষায় লিপির সঙ্গে উচ্চারণের বন্ধুত্ব বেশী । সেখানে bi মানে বি bo মানে বো কিন্তু বাংলা হল ধ্বনি নির্ভর ভাষা। আমার একজন অবাঙালী বন্ধু বলেছিল 'বাঙ্গালী লোগ সব কুছ ও ও করকে বোলতা হ্যায়'। খাবো, যাবো, কোরবো, লোড়বো, জিতবো। কিন্ত রোমান হরফে শব্দের পেছনে o বসানো সম্ভব নয়। তাই রোমান হরফে লিখতে গেলে এক একটা বাংলা শব্দের করূণ দশা হয় । ki hoyacha . পড়ে বুঝে নিতে হবে বলা হচ্ছে 'কি হয়েছে'।
আর আছে ইমোজি। ইমোশন বুঝিয়ে দেওয়ার জন্যে এগুলো ব্যবহার হয়। অনেকখানি টাইপিং তাতে বেঁচে যায়। লিখে লিখে কথোপকথনের সময় এটা একটা জরুরী ব্যপার। বাংলা সাহিত্য এখনো লিপি নির্ভর। সাহিত্যে ইমোজি ব্যবহার করা যায় না। সাহিত্যের বাংলা লিপিকে জড়িয়ে ধরে আছে । ক্লাসিকাল গানের মত। ব্যবহারিক বাংলাটা আবার রোমান হরফের সঙ্গে বেশী স্বচ্ছন্দ বোধ করে।তাই তুমি কি লিখবে আর কারা সেই লেখা পড়বে সে ব্যপারে স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার। মানে টার্গেট অডিয়েন্স ঠিক করে নেওয়া প্রয়োজনীয়।
আলঙ্কারিক বা অপ্রচলিত বাংলা শব্দ ব্যাবহার করলে মাঝে মাঝে ব্যাপারটা কিংকর্তব্যবিমূঢ হয়ে দাঁড়ায়। যেমন sharadiya priti shubheccha o abhinandan। তাছাড়া আমরা দৈনন্দিন জীবনে বেশ কিছু ইংরেজী শব্দ ব্যবহার করি যার কোনো লাগসই বাংলা হয় না। tensn nio na, ..love u ..late hobe ..
আমি নিজেই এই লেখাটায় বেশ কিছু ইংরেজী শব্দ বাংলা লিপিতে ব্যবহার করলাম। সেটা রোমান হরফে লিখলে অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। এসব নিয়ে আমি এখনও ভেবে যাচ্ছি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন