আমার চারপাশে অন্ধকার। আর সামনে একটা মস্তবড় স্ক্রিন। সিনেমা দেখছি। পরপর ছবি সরে সরে যাচ্ছে। আমি দেখছি নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোস একটা গাড়ী করে বেরিয়ে গেলেন এলগিন রোডের বাড়ী ছেড়ে। শত শত ইহুদী দৌড়চ্ছে জার্মানি সীমান্তর দিকে। বাংলাদেশী শরণার্থীরা ছুটে যাচ্ছে একটা কাঁটাতারের বেড়ার দিকে। তসলিমা নাসরিন বোঁচকাবুঁচকি নিয়ে বসে আছে এয়ারপোর্টে প্লেন ধরবে বলে। ইকুয়েডর দূতাবাসের বাইরে হাতে একটা সুটকেস নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ । ইরাক ছেড়ে কুয়েত সীমান্তের দিকে দৌড়চ্ছে অক্ষয়কুমার , সঙ্গে হিরোইন , সিরিয়া ছেড়ে বাবার কোলে চেপে যাচ্ছে আয়লান কুর্দি , লিবিয়া ছেড়ে শয়ে শয়ে লোক পড়ি কি মরি করে দৌড়চ্ছে। এরা সবাই পালাচ্ছে। আজন্মচেনা নিজের ঘর, নিজের বাড়ী, নিজের দেশ , চেনা মানুষজন ছেড়ে পালাচ্ছে । ওদের বলা হয়েছে নিজের জায়গা ছেড়ে চলে যাও। ওদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে নিজের দেশ থেকে ।
ক্যামেরা হঠাৎ জুম করে ধরল ভীড়ের মধ্যে একটা ছেলের ওপর। চিনতে পেরে চমকে উঠলাম । আমি জানি ওর বয়স উনিশ বছর। ওর পায়ের কাছে নতুন কেনা কালো ট্রাঙ্ক, কাঁধে একটা সবুজ রঙের সাইড ব্যাগ । ব্যাগের মধ্যে ভর্তি আরো উনিশটা বছর।
উফ।। ভাগ্যিস মোবাইলটা ঠিক তখনি বেজে উঠল।
ক্যামেরা হঠাৎ জুম করে ধরল ভীড়ের মধ্যে একটা ছেলের ওপর। চিনতে পেরে চমকে উঠলাম । আমি জানি ওর বয়স উনিশ বছর। ওর পায়ের কাছে নতুন কেনা কালো ট্রাঙ্ক, কাঁধে একটা সবুজ রঙের সাইড ব্যাগ । ব্যাগের মধ্যে ভর্তি আরো উনিশটা বছর।
উফ।। ভাগ্যিস মোবাইলটা ঠিক তখনি বেজে উঠল।
Lion King দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। সঙ্গের ছবিটা একটা স্ক্রিনশট।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন