১০ জুন ২০২২

গাদিয়াড়া

 দেখতে দেখতে বেশ অনেক দিনই হয়ে গেল। কেউ আসে না দেখতে। আগে সপ্তাহ শেষে তা'ও কলকাতা থেকে বিশ্রাম খুঁজতে আসা মানুষের কিছু সমাগম হত। এখন শুধু নাকমুখ ঢেকে রাখা অন্ধকার দিনে আর কেউ আসে না এখানে। পৃথিবীটা আচমকাই বদলে গেছে। কবে আবার আগের মত হবে কেউ জানে না।


আমরাও এখানে এসেছি - মাস্ক পরে আর স্যানিটাইজার পকেটে নিয়ে। ছ'কম একশ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়ে ডে ট্রিপ-এ। স্কুটি'তে। রূপনারায়ণ নদী এসে হুগলি' তে মিশেছে এখানে - কনফ্লুয়েন্স। তার পর দুজনে মিলে চলে যাচ্ছে কলকাতায়। জলের কী কোনও রং হয়? না কি আলাদা করে কোন নাম হয়? শুধু দিগন্তের ছবির মত সবুজে লেখা থাকে নাম - শীতকালে পিকনিক স্পট বলে যাদের 'ওয়ান ডে ম্যাচ'এর খ্যাতি আছে - ওই'দিকে নূরপুর, ওই'দিকে গেঁওখালি আর এইদিকে, আমরা যেখানে আছি - গাদিয়াড়া। 


এবারের শীতে কী হবে কে জানে! আপাতত বর্ষায় আকাশের রং স্লেট পাথরের মত। জনহীন ট্যুরিস্ট লজের খোলনলচে বদলানোর কাজ চলছে। চলন্তিকা হোটেলে দুপুরের লাঞ্চটা মন্দ নয়। বাকি সব দোকানপাট সারি সারি ঝাঁপ ফেলা। নদীর জলে বাচ্চা বাচ্চা ঢেউ - এখন থেকেই সমুদ্র হওয়ার চেষ্টা - যেন 'হয়েছি যে বাবা'র মত বড়ো'। নদীর ধারে বৃষ্টিভিজে একলা বেঞ্চ - কবে যে আবার সব ঠিক হবে! উলুবেড়ের পরে বম্বে রোড থেকে বাঁয়ে ঘুরে চল্লিশ কিলোমিটার। রাস্তা ভীষণ ভাল। 

এই জার্নিটুকু মন ভাল করা..


অগাস্ট'২০২০




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন