সেবক পেরিয়ে যে ন্যাশনাল হাইওয়েটা তিস্তা নদী বরাবর পাহাড়ের গা দিয়ে কালিম্পং -গ্যাংটকের দিকে চলে গেছে, সেই রাস্তাটায় বিরিক এলেই, পাহাড়ের গায়ে হঠাৎ করে একটা রাস্তা উঠে গেছে একেবারে প্রায় চল্লিশ ডিগ্রি কোণ করে, লাতপাঞ্চার-সিটং এর দিকে, ঠিক সেই মোড়টায় একটা ফুলের দোকান। সেটাই এ তল্লাটের ল্যাণ্ডমার্ক - অনেকেই জানেন। গত নভেম্বরে মংপু থেকে অহলদাড়া হয়ে ফেরার সময়,সেখানটায় গাড়ি থামিয়ে সংগ্রহ করা গেছিল এ'কে, সঙ্গে যার ছবিটি দিয়েছি। ছোট্ট টবে, ততোধিক ছোট্ট গাছটি - ফুলের নাম Azalea. এক ধরণের রডোডেনড্রন। সংশয় ছিল পাহাড়ের গাছ, গঙ্গার এপারে এসে বাঁচবে কি না! কলকাতা অবধি ষোল ঘন্টার জার্নি, লং ড্রাইভ - গাড়ির ডিকিতে লাগেজ আর পেছনের সীটে গাছের টব।
আজ ছ'মাস পরে, শহর জুড়ে একলা থাকার দিনে, আমাদের সেই গাছে প্রথম ফুল ধরেছে। 'সুতোবাঁধা যত লাল আর সাদা / ওরাই আমার থতমত এই শহরের' - না, গানের পংক্তি নয়, সত্যিকারের রডোডেনড্রন
- তোমায় দিলাম আজ
জুন'২০২০
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন